চিকেন কোয়েবগুলিতে আলোর ব্যবস্থাপনা
আলোর ব্যবস্থাপনা মুরগির খামার পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, বিশেষ করে মৌসুমে যখন দিনের আলো ধীরে ধীরে হ্রাস পায়।ডিম দেওয়ার মুরগিগুলি তাদের স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় ছন্দ এবং হরমোন বিপাক বজায় রাখতে প্রাকৃতিক আলোর উপর নির্ভর করেতবে দিনের আলো কমার সাথে সাথে মুরগির প্রাপ্ত আলোর পরিমাণও কম হয়।পশুর হরমোনাল বিপাকের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং ফলস্বরূপ ডিম উৎপাদনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়.
ডিম পেষণকারী মুরগির নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা নিশ্চিত করার জন্য, আমাদের অবশ্যই দ্রুত আলো চালু ও বন্ধ করার সময়টি সামঞ্জস্য করতে হবে।ডিম পরা মুরগির দিনে প্রায় ১৬ ঘন্টা আলো প্রয়োজনযখন প্রাকৃতিক আলো যথেষ্ট নয়, তখন কৃত্রিম আলো দিয়ে আলোর সময় বাড়ানো দরকার।এবং অতিরিক্ত আলো সকাল এবং সন্ধ্যার মধ্যে সমানভাবে বিতরণ করা উচিতসকালে বা সন্ধ্যায় একান্তে মনোনিবেশ করার পরিবর্তে।
বিশেষ করে, আমরা সূর্যাস্তের পর কয়েক ঘন্টা পর্যাপ্ত আলো নিশ্চিত করার জন্য সন্ধ্যার আলো সময় 17:00 এ সামঞ্জস্য করার পরামর্শ দিই। একই সময়ে, সকালের আলো সময় 5 ঘন্টা পর্যন্ত সামঞ্জস্য করা উচিত:00 সূর্যোদয়ের আগে মুরগিদের জন্য প্রয়োজনীয় আলো সরবরাহ করতে সহায়তা করে। এই ধরনের সমন্বয়গুলি আলোর ঘন্টাগুলির স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে,এইভাবে পশুর মধ্যে হরমোনাল বিপাক ভারসাম্য বজায় রাখতে অবদান রাখে.
এছাড়াও, আমরা আলোর বাল্বগুলিতে ল্যাম্পশ্যাড ইনস্টল করতে পারি, যা কেবল আলোর দক্ষতা বাড়িয়ে তুলতে পারে না, বরং মুরগির কোব মধ্যে আলো আরও সমানভাবে বিতরণ করতে পারে।আমাদের নিয়মিতভাবে আলোর বাল্বের ধুলো পরিষ্কার করা উচিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাল্বগুলি দ্রুত প্রতিস্থাপন করা উচিত যাতে আলোর তীব্রতার স্থিতিশীলতা এবং অভিন্নতা নিশ্চিত করা যায়এই ব্যবস্থাগুলি অপরিহার্য বা অসম আলোর কারণে মুরগির মধ্যে পালকের পিকিংয়ের মতো অস্বাভাবিক আচরণ রোধ করতে সহায়তা করে।
অবশেষে, প্রাকৃতিক এবং কৃত্রিম আলোর মধ্যে সুইচিংয়ের ক্ষেত্রে নজরদারি এড়ানোর জন্য আমাদের বিশেষ মনোযোগ দিতে হবে।এই ধরনের অবহেলা হুমকি দিতে পারে যে মুরগিগুলি অল্প সময়ের মধ্যে অত্যধিক বা অপর্যাপ্ত আলোর সংস্পর্শে আসবে।তাই, আমাদের একটি কঠোর আলোর ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা তৈরি করা উচিত এবং নিশ্চিত করা উচিত যে সমস্ত কর্মী এটিকে কঠোরভাবে মেনে চলে।
সংক্ষেপে, হাঁস-মুরগির খামারে আলোর সময়, আলোর তীব্রতা এবং আলোর অভিন্নতার বৈজ্ঞানিক ও যুক্তিসঙ্গত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে,আমরা কার্যকরভাবে হরমোন বিপাক ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন এবং পশুর স্থিতিশীল ডিম উৎপাদন হার, যার ফলে হাঁস-মুরগির শিল্পের জন্য অর্থনৈতিক লাভ বাড়বে।